মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত স্বর্ণের দাম ভরিতে কমল ৪২০ টাকা গরমে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি খাওয়া কি ঠিক? প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস-পরীক্ষার সিদ্ধান্ত আসতে পারে: শিক্ষামন্ত্রী সারাদেশ উপজেলা নির্বাচনে সেনাবাহিনী নামানো সম্ভব নয়: ইসি আলমগীর সমুদ্রসীমায় ২০ মে থেকে ৬৫ দিন‌ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ হচ্ছে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ : আইএইএ প্রধানকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবিগঞ্জে হারুন হত্যা মামলা : ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১০ জনের যাবজ্জীবন চুক্তি হোক বা না হোক, রাফায় অভিযান চলবে : নেতানিয়াহু চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতার হতে পারে নেতানিয়াহু
বোতলের পানির মানে প্রশ্ন

বোতলের পানির মানে প্রশ্ন

স্বদেশ ডেস্ক:

একটু তৃষ্ণা পেলেই হাতের নাগালে থাকা বোতলজাত পানিতে চুমুক দেয় মানুষ। দুই যুগ আগেও দেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে সহজলভ্য ছিল না বোতলজাত পানি। কিন্তু বিশুদ্ধ পানির অপ্রতুলতায় মানুষ এখন অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে বোতলজাত পানিতে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বোতলজাত পানির নামে আমরা যা পান করছি তা কতটা নিরাপদ। তৃষ্ণা মিটছে ঠিকই, কিন্তু পানিতে মিনারেলসহ যেসব উপাদান থাকার কথা বোতলজাত পানি কি এর কোনোটার অভাব পূরণ করছে? নাকি উল্টো বোতলজাত পানি শরীরের জন্য নানা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে? বিষয়টি জানতে দৈনিক আমাদের সময় নজর দিয়েছে সম্প্রতি হওয়া একটি গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর।

সে গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন বা আন্তর্জাতিক মানদ-ের ধারেকাছেও নেই বাংলাদেশের বোতলজাত পানি। অতি চাহিদার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোম্পানিগুলো মানহীন পানি সরবরাহ করছে। এ নিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গবেষণা বলছে, এমন পানি শরীরের প্রয়োজনীয় মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করতে পারে না। এ পানি শুধু অতি জরুরি অবস্থায় পান করা যেতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) ইনস্টিটিউট অব ন্যাশনাল এনালাইটিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড সার্ভিসের (আইএনএআরএস) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রিপাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন গবেষণা কর্মকর্তা এবং দেশ-বিদেশের কয়েকজন শিক্ষক ও গবেষক এ গবেষণা পরিচালনা করেন। গবেষক দলে মালয়েশিয়ার সানওয়ে ইউনিভার্সিটির রেডিয়েশন ফিজিক্স

অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ড. মাইন উদ্দিন খন্দকার ছাড়াও মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, জর্ডান ও মিসরের গবেষকরা ছিলেন।

এ গবেষণা গ্রুপ বাংলাদেশের বাজারে প্রচলিত বোতলজাত ও অবোতলজাত পানির গুণগত মান নিয়ে গবেষণা করে। তাতে দেখা গেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন বা আন্তর্জাতিক মানদ-ের ধারেকাছেও নেই বাংলাদেশের বোতলজাতকৃত পানি।

গবেষণায় দেশীয় ২৬টি ব্র্যান্ডের পানির গুণগত মান বিশ্লেষণ করা হয়। এর মধ্যে ঢাকা ওয়াসার পানিও রয়েছে। বিদেশি ব্র্যান্ড হিসেবে এভিয়ান ও ফেরিয়ন নেওয়া হয়। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকার ৮০০ থেকে ১২০০ ফুট গভীরতার ডিপ টিউবওয়েল এবং ওয়াসার ট্যাপের পানি বিশ্লেষণ করা হয়। এসব পানি মানুষের দেহের দৈনিক কতটুকু মিনারেলের চাহিদা পূরণ করে তারও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষণায় আফা-২০১৭ মেথড ও আইওএস ১৭০২৫ : ২০১৭ গাইডলাইন অনুসরণ করা হয়।

বোতলজাত পানির পিএইচ, কালার, ওডার, মেটাল, প্যাথজেন, রেডিও নিউক্লিওসাইডের মান আদর্শ মানদ-কে লঙ্ঘন করেনি বলেও গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, দেশীয় ব্র্যান্ডের বোতলজাত পানির অধিকাংশের টোটাল ডিজলভ সলিড (টিডিএস) বা মিনারেলের সমষ্টি উদ্বেগজনকভাবে কম। সব মিলিয়ে ২৬টি কোম্পানির পানির গড় টিডিএস মান ৫১ দশমিক ৯। এতে কিছু কিছু ব্র্যান্ড এই মান প্রতি লিটারে মাত্র ২ দশমিক ৯ রয়েছে। যা খুবই খারাপ বলে মনে করেন গবেষকরা। তাদের দাবি, এ ধরনের পানি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এ পানি শুধু গবেষণাগারে গবেষণা কিংবা জরুরি পরিস্থিতিতে পান করা যায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় সব কোম্পানিই রিভার্স অসমোসিস (আরও) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পানিকে ডিমিনারালাইজড করে মিনারেল প্রয়োগ ছাড়া বোতলজাত করে বাজারে বিক্রি করছে। এমন পানি পান করে জর্ডানে জাতিগত সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কারণ পানিতে থাকা মিনারেলগুলো মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। ডাইজেস্ট, এনজাইমের সুষ্ঠু ক্রিয়া ঠিক রাখা, হার্ট ঠিক রাখা, ক্যানসার কন্ট্রোল, ডায়াবেটিস কন্ট্রোল রাখা, হাড় ও শরীরের গঠন ঠিক রাখা, দাঁতের এনামেল ক্যারিজ ঠিক রাখা এবং স্নায়ু সিস্টেম ঠিক রাখতে এসব মাইক্রো ও ম্যাক্রো মিনারেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, সালফেট, ফসফেট, ক্লোরাইড ও ফ্লোরাইডসহ মিনারেলগুলো মানুষের শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এসব মিনারেল দেশীয় বোতলজাত পানিতে খুবই কম বা নেই বললেই চলে। তবে এ মিনারেল টিউবওয়েল, জমজম, ওয়াসা ও বিদেশি বোতলজাত পানিতে আদর্শ মানের কাছাকাছি রয়েছে।

গবেষণায় আরও বলা হয়, সমপরিমাণ পানি ও ফুড গ্রহণ করলে পানি থেকে খুব সহজে, কম সময়ে, কম টাকায় যে পরিমাণ মিনারেলের সাপোর্ট পাওয়া যায় তার সিকি ভাগও কোনো ফুড সাপোর্ট দিতে পারে না। তাই আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও জাপানসহ প্রায় সব দেশে মিনারেলসমৃদ্ধ পানি ছাড়া ডিমিনারেল পানি নিষিদ্ধ।

বোতলজাত পানিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত টিডিএস থাকতে হবে প্রতি লিটারে <১০০০ মিলিগ্রাম, আমেরিকার খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) <৫০০ মিলিগ্রাম পার লিটার, সৌদি আরবের স্ট্যান্ডার্ড, মেট্রোলজি এবং কোয়ালিটি অর্গানাইজেশনের (এসএএসও) <১৫০০ মিলিগ্রাম পার লিটার, আন্তর্জাতিক বোতলজাত জল সমিতির (আইবিডব্লিউএ) <৫০০ মিলিগ্রাম পার লিটার, ইউনাইটেড স্টেট এনভায়রনমেন্ট প্রটেকশন এজেন্সির (ইউএসইপিএ) <৫০০ মিলিগ্রাম পার লিটার, জমজম ওয়াটারের ৮১০ মিলিগ্রাম পার লিটার এবং ভারতের বিআইএস অনুযায়ী <২০০০ মিলিগ্রাম পার লিটার। কিন্তু বাংলাদেশের এই ২৬টি ব্যান্ডের গড় টিডিএস হচ্ছে ৫১ দশমিক ৯ মিলিগ্রাম পার লিটার।

যে পানির প্রতি লিটারে মিনারেল বা নির্ধারিত খনিজ উপাদান <১৫০০ মিলিগ্রাম রয়েছে সেটিকে খুবই ভালো পানি হিসেবে ধরা হয়। <১০০০ মিলিগ্রাম/লি. থাকলে মধ্যম মানের এবং <৫০০ মিলিগ্রাম/লি. থাকলে নিম্নমানের মিনারেল ওয়াটার ধরা হয়। তবে কোনোভাবে টিডিএসের মান ৫০ মিলিগ্রাম/লি.-এর নিচে হতে পারবে না। উন্নত দেশে নিম্নমানের ও মধ্যমমানের মিনারেল ওয়াটারকে ড্রিংকিং ওয়াটার বলে। এ বিবেচনায় দেশের বোতলজাত পানিগুলোর অবস্থান নিচের দিক থেকে প্রথমে বলা চলে।

গবেষণায় বাংলাদেশি ব্যান্ডগুলোতে টিডিএস প্রতি লিটারে মিলিগ্রাম হিসেবে মাম-এ টিডিএস পাওয়া গেছে ১১৭ দশমিক ৩৩, ফ্রেশ-এ ১০৬ দশমিক ২৭, প্রাণ-এ ৭১.৪, অ্যাকুয়াফিনায় ৩.৩, কিনলেতে ১৫.৪, লিলিয়ায় ৫৩.৫, জীবন-এ ৬৯.৪, স্পা’তে ২০৯, ইফাদে ৫.৯, ক্রিস্টাল-এ ২০.৮৫, ইকোতে ৭৬.৭, ওসেনিয়ায় ১১৮, মামীয়া’য় ১১.৮, শান্তিতে ৫১.২, পানিতে ২৪.৩, ওয়াসার টেপের পানিতে ১৩৫, একমিতে ৭.১৫, প্রিমিয়ামে ৮৩.০৫, পারফেক্ট-এ ২.৯, ফিনাতে ১১৯, মুক্তাতে ৬.৬, শ্যামলীতে ১২৮.৫, রেভেরাতে ৫০.১৪, ডেল্টায় ৫.১৭, রংধনুতে ১৮.১৭ এবং দেশবন্ধুতে ৪২.১৮। গবেষকরা বলছেন, বোতলের গায়ে পানির এসব উপাদানের উৎস, উৎপত্তিস্থল, কী প্রক্রিয়ায় প্রক্রিয়াজাতকরণ হয়েছে, কী ডিজইনফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে এসবের বিস্তারিত নেই। এতে ভোক্তা তার যাছাই করার অধিকার হারাচ্ছে।

বোতলজাত পানি প্লাস্টিকের বোতলে সরবরাহ করার বিষয়েও আপত্তি জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বোতল থেকে ন্যানো লেবেলের প্লাস্টিক লিসিং হয় তা স্বাস্থ্য ঝুঁঁকি ও ক্যানসার সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করে। এ কারণে উন্নত দেশে কাচের বোতলে পানি বোতলজাত করা হয়।

গবেষণাপত্রে বলা হয়, ইউরোপীয় অনেক দেশ মিনারেল পানি হিসেবে জমজম পানি জি টু জি প্রক্রিয়ায় নিজ দেশে সরবরাহ করে। বাংলাদেশেও এমন উদ্যাগ নেওয়া যেতে পারে। আর বিদেশি বোতলজাত পানি অনেক দামি হওয়ায় বিসিএসআইআরের উদ্ভাবিত মিনারেল পানি সরবরাহ করা যেতে পারে।

গবেষণায় বলা হয়, ওয়াসার পানির মান কিছুটা ভালো হলেও তারা অতি পুরনো মেথড অনুসরণ করে পরিশোধন করছে। এতে ফিটকারী ও ক্লোরিনজাতক ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর মাধ্যমে ইমার্জিন পলিউটেন্টের বিষয়টি ফেলে দেওয়া যায় না। উপকূলীয় এলাকার টিউবওয়েলের পানি অনেক ভালো। তাই পুরো উপকূলীয় এলাকা পানি শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় অঞ্চল হতে পারে বলে গবেষণাপত্রে মত দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় এলাকা একুইফার বালি, মাটি ও চুনময় হওয়ায়, তা প্যাথজেনমুক্ত ও মিনারেল সমৃদ্ধ থাকে। চুনময় শিলা স্পঞ্জের মতো কাজ করায় সহজে পানির ফ্লো ঠিক রেখে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তেলনের ফলে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয় তা দ্রুত পূরণ করতে পারে। আর চারদিকে নদী ও সাগর হওয়ার পানির সোর্সেরও অভাব হবে না।

ফ্রেশ মেঘনা গ্রুপের একটি পণ্য। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেঘনা গ্রুপের এজিএম মজিবুর রহমান বলেন, ফ্রেশ পানির চেয়ে উৎকৃষ্ট পানি হতে পারে না। যেহেতু বিএসটিআই এ পানি যতবার টেস্ট করেছে পানি বিশুদ্ধ পেয়েছে। ওরাই লাইসেন্স দিয়েছে। আমাদের পানির যে স্ট্যান্ডার্ড থাকা দরকার সেই স্ট্যান্ডার্ডই রয়েছে।

মাম ব্র্যান্ডের পানি পারটেক্স বেভারেজের একটি পণ্য। পারটেক্স বেভারেজের এজিএম (ব্র্যান্ড) নাহিদ ইউসুফ বলেন, টিডিএস কমানো থাকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। অন্যান্য কোম্পানি ৫০/৬০/৭০ দেয়, আমরা দেই বেশি। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসংস্থা বলেছে ৭০০ কী ৫০০ দেওয়ার জন্য। এটা বেশি দিলে সমস্যা, কম দিলে সমস্যা নেই।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি) মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ আমাদের সময়কে বলেন, আমরা গবেষণাপত্রটি দেখিনি। এটি এনালাইসিস করে যদি অথেনটিক মনে হয় তবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএসটিআইয়ের সার্টিফিকেশন মার্কস উইংয়ের (সিএম) পরিচালক নুরুল আমিন বলেন, পানির দুটি স্ট্যান্ডার্ড রয়েছে। মিনারেল এবং ড্রিংকিং ওয়াটার। ড্রিংকিং ওয়াটারের বিডিএস ১২৪০ এবং মিনারেল ওয়াটারের ১৪২৪। দুই ধরনের মানদ- অনুসরণ করে দেশে এ দুই ধরনের পানি উৎপাদন করা হয়। আন্তর্জাতিকভাবে কী আছে সেটা ভিন্ন বিষয়। আমাদের যে মানদ- রয়েছে কোম্পানিগুলো সেটি অনুসরণ করে ড্রিংকিং ওয়াটার হিসেবে বোতলজাত পানি উৎপাদন করে থাকে। তাই এটিকে মানহীন বলা যাবে না।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআইয়ের বিষয়টি ভালোভাবে দেখা উচিত। যেসব কোম্পানি মানসম্পন্ন পানি সরবরাহে ব্যর্থ সেগুলোকে ব্যান্ড করে দিতে হবে। জানতে চাইলে বিসিএসআইআর-এর চেয়ারম্যান ড. আফতাব আলী শেখ বলেন, গবেষণাটি কিছুদিন আগে করা হয়েছে। তখন আমি দায়িত্বে ছিলাম না। তাই বিষয়টি সম্পর্কে কথা বলতে পারছি না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877